সাইয়িদ কুতুবের ব্যাপারে শাইখ আব্দুল আযিয বিন আব্দুল্লাহ বিন বায

সালাফি দাওয়াহ বাংলা

‘কুতুব ওয়া শাখসিয়্যাত’ বইয়ের একটি সেকশন (পৃ. ২৪২) শাইখকে পড়ে শুনানো হয় যেখানে সাইয়িদ কুতুব মুয়াবিয়াহ ও আমর ইবনুল আসকে (رضي الله عنهما) মিথ্যাচার (كذب), ধোঁকাবাজি (غش), ছলনা বা প্রতারণা (خديعة), মুনাফিকি (نفاق) এবং ঘুষ নেওয়ার (رشوة) অভিযোগ করে।

তখন শাইখ জবাব দেন: “এসব জঘন্য কথা! এসব জঘন্য কথা। (এসব) মুয়াবিয়াহ ও আমর ইবনুল আসের ব্যাপারে গালমন্দ। শব্দগুলোর সবই বীতশ্রদ্ধ ও শয়তানিমূলক। মুয়াবিয়াহ ও আমর এবং যাঁরা তাঁদের সাথে ছিলেন, তাঁরা ইজতিহাদ করেছেন এবং ভুলে পতিত হয়েছেন [১], আর যাঁরা ইজতিহাদ করেন এবং ভুলে পতিত হন, আল্লাহ আমাদের ও তাঁদের মাফ করুন।”

প্রশ্নকারী এরপর জিজ্ঞেস করে: “এই বক্তব্যের ব্যাপারে কী বলবেন যাতে বলা হয়েছে তাঁদের দুজনের মধ্যে মুনাফিকি (نفاق) বিদ্যমান, এটা কি তাঁদের তাকফির নয়?”

শাইখ বিন বায: ‘‘তা ভুল ও ভ্রান্তি যা কুফর নয়। তার কিছু কিছু সাহাবাদের অথবা তাঁদের একজনের ব্যাপারে গালমন্দ করা অসৎ কাজ (منكر) ও ফাসেকি (فسق) এবং এর কারণে সে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির উপযুক্ত হয়েছে – আমরা আল্লাহর কাছে তার জন্য মাফ চাই – কিন্তু, সে যদি তাঁদের অধিকাংশকে গালমন্দ করে এবং ফাসিক হিসেবে ঘোষণা করে তখন সে মুরতাদ হয়ে যাবে, কারণ তাঁরা ওয়াহির বাহক। সে যখন তাঁদেরকে গালমন্দ করছে, তার মানে সে শরিয়াহকে গালমন্দ করছে।”

প্রশ্নকারী বলল: “যে বইগুলোতে এরকম বক্তব্য আছে তা কি নিষিদ্ধ করা উচিত নয়?” শাইখ বিন বায: “ঐ বইগুলোকে ছিঁড়ে টুকরো টুকরো করে ফেলা দরকার।”

শাইখ বললেন: “এটা কি কোনো পত্রিকার?”

প্রশ্নকর্তা বলল: “একটি বইতে, আল্লাহ আপনার প্রতি সদয় হোন।”

শাইখ বললেন: “কার বই?”

প্রশ্নকর্তা: ‘‘সাইয়িদ কুতুব...” শাইখ: “এসব জঘন্য কথা।” প্রশ্নকারী পড়তে লাগল, ‘‘...কুতুব ওয়া শাখসিয়্যাত বইতে...’’

কথোপকথনের সমাপ্তি [২]

সোর্স: salafipublications.com

ফুটনোট:

[১] এটা চেক করতে গিয়ে শাইখ ফাওযান মত দেন, “তাঁরা যে ভুল করেছেন এটার ব্যাপারে সুনিশ্চিত হওয়া সুস্পষ্ট নয়। তবে যদি বলা হয় যে, ‘তাঁরা ছিলেন মুজতাহিদুন, তাঁরা যদি সঠিক হয়ে থাকেন তবে তাঁদের জন্য আছে দুটি সাওয়াব এবং যদি তাঁদের ভুল হয়ে থাকে তবে তাঁদের জন্য একটি সাওয়াব, যদিও তাঁদের ভুল মাফ করে দেওয়া হয়।’ – তবে তা হতো অধিক উত্তম ও ইনসাফপূর্ণ।”
[২] ‘শারহু রিয়াদ আস-সালিহিন’ ক্যাসেট, ১৮/০৭/১৪১৮হি
Next Post Previous Post
কোনো কমেন্ট নেই
কমেন্ট করুন
comment url