তাওহিদের প্রকার
﷽
প্রশ্ন: তাওহিদের (একত্ববাদ) প্রকারগুলো কী কী এবং প্রত্যেক প্রকারের সংজ্ঞা কী?
উত্তর:
তাওহিদ ৩ প্রকার:
- তাওহিদুর রুবুবিয়্যাহ (রব হিসেবে আল্লাহর একত্ব)
- তাওহিদুল উলুহিয়্যাহ (ইবাদাতে একত্ব) এবং
- তাওহিদুল আসমা ওয়াস সিফাত (আল্লাহর নাম ও গুণাবলিতে একত্ব)
তাওহিদুর রুবুবিয়্যাহর অর্থ এই সাক্ষ্য দেওয়া, আল্লাহই একক স্রষ্টা; রিজিকদাতা; জীবন দেওয়া ও নেওয়ার মালিক, এবং আসমান ও জমিনের সবকিছুর নিয়ন্ত্রণকর্তা। এটা আরো বুঝায়, শাসন ও বিধানপ্রণয়নের সবকিছুই একমাত্র আল্লাহর দিকে সোপর্দ করা, যা তিনি তাঁর রুসুল ও আসমানি কিতাবসমূহের মাধ্যমে পাঠিয়েছেন। আল্লাহ বলেন:
“সৃষ্টি ও নির্দেশ তাঁরই। আল্লাহ মহান, যিনি সকল সৃষ্টির রব (মানবজাতি, জিন এবং যা কিছু অস্তিত্বশীল)।” [১]
তাওহিদুল উলুহিয়্যাহ হলো, একমাত্র আল্লাহর ইবাদাত করা; অন্য কোনোকিছুর ইবাদাত না করা, তাদেরকে না ডাকা বা সাহায্য না চাওয়া। মানত ও কুরবানির পশু কেবলমাত্র তাঁর প্রতিই নিবেদিত হতে হবে। আল্লাহ বলেন:
‘‘বলুন (হে মুহাম্মাদ), ‘নিশ্চয়ই আমার সালাত, আমার কুরবানি, আমার জীবন ও আমার মরণ আল্লাহর জন্য, যিনি সকল সৃষ্টির রব (মানবজাতি, জিন ও যা কিছু অস্তিত্বশীল)। তাঁর কোনো শরিক নেই এবং আমাকে এরই নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। আর আমি মুসলমানদের মধ্যে প্রথম।” [২]
তিনি আরো বলেন:
“অতএব, তোমার রবের উদ্দেশ্যেই সালাত পড়ো এবং কুরবানি করো।” [৩]
তাওহিদুল আসমা ওয়াস সিফাত দ্বারা বোঝায়, আল্লাহকে সেভাবে বর্ণনা করা যেভাবে তিনি নিজেকে বর্ণনা করেছেন, এবং যেভাবে তাঁর রাসুল (ﷺ) তাঁকে বর্ণনা করেছেন। আর আল্লাহকে সেসব নামে নামকরণ করা, যেসব নামে তিনি নিজের নামকরণ করেছেন, এবং তাঁর রাসুল (ﷺ) তাঁকে সহিহ হাদিসে নামকরণ করেছেন, কোনোপ্রকার তাশবিহ (তুলনা প্রদান), তামসিল (আল্লাহর গুণাবলিকে তাঁর সৃষ্টির সাথে মিলানো), তাওয়িল (রূপক অর্থদান) বা তাতিল (গুণাবলির অস্বীকার) ব্যতিরেকে।
“তাঁর মতো কিছু নেই; আর তিনি সর্বশ্রোতা ও সর্বদ্রষ্টা” [৪]
আল্লাহ আমাদের সফলতা দান করুন! সালাত ও সালাম বর্ষিত হোক আমাদের নবি মুহাম্মাদ (ﷺ), তাঁর পরিবার ও সাহাবিদের প্রতি। [৫]
ফুটনোট:
[১] সুরা আল-আরাফ, ৭:৫৪
[২] সুরা আল-আনআম, ৬:১৬২-১৬৩
[৩] সুরা আল-কাউসার, ১০৮:২
[৪] সুরা আশ-শুরা, ৪২:১১
[৫] আল-লাজনাহ আদ-দাইমাহ লিল বুহুসিল ইলমিয়্যাহ ওয়াল ইফতা, ১ম খণ্ড, ৫৫-৫৬ পৃ.
جزاك الله خيراً
آمين وإياك
جزاكم الله خيرا
آمين وإياكم