তাকে ইরানে আয়াতুল্লাহদের কাছে ফেরত পাঠানো হোক কারণ সে তাওবাহ করেনি
![]() |
ড্যানিয়েল হাকিকাতজু |
হাকিকাতজু: শিয়া মতবাদ থেকে আমি তাওবাহ করেছি এবং সুন্নি মুসলিম হয়ে গেছি কিন্তু আমি খোমেনিকে কাফির মনে করি না, এবং বারো ইমামি রাফিদিরা সুন্নিদের মতোই, গত দশকগুলোয় তাদের মধ্যে বহু পরিবর্তন এসেছে।
ইবন আবি হাতিম বলেন: আলি বিন আল-হাসান বিন ইয়াযিদ আস-সুল্লামি আমাদের কাছে বর্ণনা করেছেন: আমি আমার বাবাকে বলতে শুনেছি: ‘‘হিশাম বিন উবাইদুল্লাহ আর-রাযি থেকে আমি শুনি যে, এক লোককে তাজাহহুমের (জাহাম বিন সাফওয়ানের মতবাদ লালন করা) কারণে জেলে পুরা হয়, এবং সে তাওবাহ করে—তো তাকে নিরীক্ষণের জন্য নিয়ে আসা হয় এবং (হিশাম) তাকে বলেন, ‘‘তুমি কি সাক্ষ্য দিচ্ছো যে আল্লাহ আরশের ওপর উঠেছেন, তাঁর সৃষ্টি থেকে আলাদা ও পৃথক (বা-ইনুন মিন খালকিহি)?’’ সে বলে, ‘‘বা-ইনুন মিন খালকিহি’’ কী জিনিস তা তো আমি জানি না।’’ তারপর (হিশাম) বলেন, ‘‘তাকে (জেলে) ফেরত পাঠাও, কেননা সে তাওবাহ করেনি।’’ [১]
এই লোকটি জাহামের কুফরি বিদআত থেকে তাওবাহ করার দাবি করেছিল, সে আল্লাহকে তাঁর সৃষ্টির ওপর হিসেবে বিশ্বাস করে এই দাবিতে। তখন তাকে ঘোষণা দিতে বলা হয় যে, ‘‘তাঁর সৃষ্টি থেকে পৃথক’’, কারণ তা একটি লাজিম (আবশ্যকতা) যা ওটা থেকে অনুসৃত হয়, কিন্তু সে খেলা করে এবং বলে, ‘‘আমি জানি না তা কী।’’ তাই তাকে আবারো জেলে ফেরত পাঠানো হয়। একইভাবে, হাকিকাতজু সুন্নি হওয়ার দাবি করে এবং বারো ইমামি শিয়াবাদ থেকে তাওবাহ করার দাবি করে, কিন্তু তার ভালোবাসা, আনুগত্য, সমর্থন ও নিষ্ঠা রাফিদিদের স্বার্থেই। সে তাদের জন্য পিছে (ও সামনে) ঝুঁকে যায়, পক্ষান্তরে সুন্নি মুসলিম দেশ, নেতা ও জনগণের জন্য তার ক্ষিপ্ততা, রাগ-রোষ ও মানহানি ঢেলে দেয়। [২]
ফুটনোট:
[১] আয-যাহাবির ‘মুখতাসার আল-উলু’, (পৃ. ১৮১)
[২] AbuIyaadSP