রামাদান: তাওবাহর এক সুবর্ণ সুযোগ!
জিব্রিল (আলাইহিস সালাম) সেই ব্যক্তির ব্যাপারে দোয়া করেছেন এবং রাসুলুল্লাহ (ﷺ) তাতে আমিন (হে আল্লাহ, তা কবুল করুন) বলেছেন, যে এই মাসে (রামাদান) প্রবেশ করে কিন্তু ক্ষমা লাভ করে না। [১]
হে ত্রুটিপূর্ণ! হে গুনাহগার! — আর আমরা সবাই ত্রুটিপূর্ণ ও গুনাহগার — তোমার জন্য এই মাসটি তোমার রবের দিকে প্রত্যাবর্তনের জন্য এবং তোমাকে গুনাহ ও অবাধ্যতা থেকে পরিশুদ্ধ করতে কল্যাণের দুয়ার খুলে দিয়েছে, সুতরাং, (সত্যিকার) সুখী লোক সে যে নিজের হিসাব নেয় এবং বিচারের দিনে আল্লাহর সাথে সাক্ষাতের আগেই তাওবাহ করে।
وَتُوبُوٓاْ إِلَى ٱللَّهِ جَمِيعًا أَيُّهَ ٱلۡمُؤۡمِنُونَ لَعَلَّكُمۡ تُفۡلِحُونَ
“হে মুমিনগণ, তোমরা সকলেই আল্লাহর নিকট তাওবাহ কর, যাতে তোমরা সফল হতে পারো।” [২]
শাইখ খালিদ আয-যুফাইরির (حفظه الله) খুতবার একাংশ
সোর্স: Salafi Centre of Manchester
ফুটনোট:
[১] মালিক বিন হুয়াইরিস থেকে বর্ণিত, ‘একবার আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিম্বরে উঠলেন। প্রথম ধাপে উঠেই বললেন, ‘আমিন।’ অতঃপর দ্বিতীয় ধাপে উঠে বললেন, ‘আমিন’, অনুরূপ তৃতীয় ধাপেও উঠে বললেন, ‘আমিন।’ এরপর তিনি বললেন, “আমার নিকট জিব্রিল উপস্থিত হয়ে বলেছেন, ‘হে মুহাম্মাদ! যে ব্যক্তি রামাদান পেল অথচ পাপমুক্ত হতে পারল না আল্লাহ তাকে দূর করুন।’ তখন আমি বললাম ‘আমিন’। তিনি আবার বললেন, ‘যে ব্যক্তি তার পিতা-মাতাকে অথবা তাদের একজনকে জীবিতাবস্থায় পেল অথচ তাকে জাহান্নামে যেতে হবে, আল্লাহ তাকেও দূর করুন।’ এতে আমি বললাম ‘আমিন’। অতঃপর তিনি বললেন, ‘যার নিকট আপনার (নাম) উল্লেখ করা হয় অথচ সে আপনার উপর দরুদ পাঠ করে না, আল্লাহ তাকেও দূর করুন।’ এতে আমি ‘আমিন’ বললাম।” — (ইবনু হিব্বান ৪০৯, ৯০৭; সহিহ তারগিব ওয়াত তাহরিব ৯৮২)
[২] আন-নুর : ৩১